প্রকাশিত: ২৮/০১/২০১৭ ১০:২১ পিএম

নিউজ ডেস্ক:: বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে যৌতুক দাবী ও নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে হয়রানী করায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন স্বামী। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার এ ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম পাহাড়তলী ৯ নং রোড গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকার মো. সহিদুল ইসলাম খোকনের মেয়ে দিনা আকতার রিতুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ এলাকার আব্দুল মোনাফের ছেলে মো. মোজাহের হোসেন রুবেলের বিয়ে হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সূত্রপাত হয়। এর জের ধরে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে পাহাড়তলী থানায় বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে মামলা দায়ের করে রিতু। মামলায় স্বামী রুবেল ছাড়াও আসামি করা হয় শ্বশুর আব্দুল মোনাফ ও শাশুড়ি নূর জাহান বেগমকে। এ মামলায় আটকও হন শ্বশুর।

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী দিনা আকতার রিতু বলেন, ‘শ্বশুর-শাশুড়ির আশ্রয়ে স্বামী রুবেল তাকে নির্যাতন করেছে। তাই মামলায় তাদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে।’

এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে বাবা-মাকে হয়রানি করার জন্য স্বামী রুবেল স্ত্রী রিতুতে তালাক দেন।

এ প্রসঙ্গে মোজাহের হোসেন রুবেল জানান, স্ত্রী রিতু স্বামী হিসেবে শুধু আমাকে মামলায় জড়ালে কোনো আপত্তি ছিল না কিন্তু আমার নিরপরাধ মা-বাবাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর সাথে তো সংসার করা যায় না। তাই আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে তালাক প্রদান করেছি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজী অফিসে গিয়ে ২০১৬ সালের ১৬ জুন লিখিতভাবে স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে রুবেল। এ প্রেক্ষিতে মামলা নং-১১৯৩-২/১৬ মূলে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর তালাক দাতা রুবেল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সালিশি কাউন্সিলে তালাক নোটিশ কার্যকরের আবেদন করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মেয়রের পক্ষে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত আদেশে তালাক কার্যকরের এ তথ্য জানা যায়।

এতে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৭ (৩) ধারা মোতাবেক ৯০ দিন অতিবাহিত হওয়ায় মো. মোজাহের হোসেন রুবেলের স্ত্রীকে দেওয়া তালাক ২০১৬ সালের ১৬ জুন তারিখ হতে কার্যকর হয়েছে বলে জানানো হয়। পরিবর্তন

পাঠকের মতামত